.png)
শীতের সেই প্রিয় সুয়েটারটি কি কয়েক মৌসুম পরেও নতুনের মতো থাকবে? নাকি একটু অবহেলায় হয়ে যাবে আকৃতি হারানো, রং ফ্যাকাশে? আসলে শীতের পোশাকের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব নির্ভর করে এর যত্নের ওপর। পশম, তুলা, রেশম, অ্যাক্রিলিক বা রেয়ন—প্রতিটিরই আছে আলাদা চরিত্র ও চাহিদা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এসব পোশাককে দীর্ঘদিন সুন্দর ও সজীব রাখা যায়।
লেবেলই বলে দেবে গল্পটা
পোশাকের ভেতর লাগানো সেই ছোট্ট লেবেলটি কিন্তু আপনার গাইড। সেখানে যা লেখা থাকে, তা একেবারে সোনার অক্ষরে লিখে রাখার মতো। ধোয়ার তাপমাত্রা থেকে শুরু করে শুকানো পর্যন্ত সব নির্দেশনা সেখানে স্পষ্ট করে দেওয়া থাকে। তাই পোশাক কিনেই প্রথমে লেবেলটি পড়ে নিন, এটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
পরিষ্কারের রহস্য: বেশি নয়, নিয়মিত হোক
শীতের পোশাক প্রতিদিন ধোয়ার প্রয়োজন নেই, কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি। উলের পোশাক অতিরিক্ত ধোয়া উচিত নয়, কিন্তু সিনথেটিক বা অন্যান্য কাপড় নিয়মিত ধুলে ভালো থাকে। হালকা গরম বা ঠান্ডা পানিতে হ্যান্ড ওয়াশ করাই সবচেয়ে নিরাপদ। আর মেশিনে দিতে চাইলে 'জেন্টল সাইকেল' বেছে নিন।
স্পর্শকাতরতার সাথে আচরণ
শীতের অনেক পোশাকই খুব নরম ও স্পর্শকাতর। সেগুলো পরিষ্কার করতে পারেন আপনারই ব্যবহৃত হেয়ার শ্যাম্পু বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে। এগুলো কেমিক্যাল কম থাকায় পোশাকের প্রাকৃতিক আঁশ নরম ও টেকসই থাকে।
আছড়ানো নয়, চেপে পরিষ্কার
ভারী শীতের পোশাক কখনোই জোরে আছড়িয়ে কাচবেন না। এতে কাপড়ের গঠন নষ্ট হয়ে যায়। বরং হালকা করে হাত দিয়ে চেপে চেপে ময়লা বের করে নিন। দেখবেন, পোশাকও থাকবে অক্ষত, ময়লাও সরে যাবে সহজেই।
ধুলার রাজ্য থেকে মুক্তি
কোট বা জ্যাকেটে জমে থাকা ধুলা পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করুন নরম ব্রাশ। বেশিরভাগ উলের পোশাক ড্রাই ক্লিন করানোই ভালো। তবে লেবেলে অন্য কিছু উল্লেখ থাকলে, তা মেনেই চলুন।
শুকানোর ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ই শ্রেয়
ড্রায়ারে উচ্চ তাপে শীতের পোশাক শুকানো একেবারেই উচিত নয়। এতে পোশাক সংকুচিত হয়ে যায়, নষ্ট হয় তার প্রাকৃতিক গুণ। বরং ছায়ায় বা ঘরের ভেতর বাতাসে শুকাতে দিন। দেখবেন, পোশাকের সৌরভ ও সজীবতা দুটোই অক্ষত থাকবে।
এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার শীতের পোশাক শুধু এক মৌসুম নয়, বহু মৌসুম ধরে আপনাকে দিয়ে যাবে আরাম আর আভিজাত্যের অনুভূতি।