বর্তমান সময়ে ওজন বাড়া যেন অনেকের জীবনেই বড় এক চিন্তার কারণ। কেউ কাজের চাপ, কেউ আবার অনিয়মিত খাবারের কারণে নিজের অজান্তেই ওজন বাড়িয়ে ফেলছেন। তারপর শুরু হয় একটাই ভাবনা—“কীভাবে কমাব?” ঠিক এই জায়গাতেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এক সহজ উপায়—সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবু খাওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এটা কি সত্যিই কাজ করে?
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারের পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মী বলেন, কেবল লেবুপানি পান করলেই ওজন কমে না—এটা একটা ভুল ধারণা। বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম আর নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে যদি লেবুপানি যুক্ত করা যায়, তখনই এটি সত্যিকার অর্থে ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
ওজন কমাতে কিভাবে সাহায্য করে
আরও মজার ব্যাপার হলো, লেবুপানি পান করার পর ব্যায়াম করলে ক্যালরি ক্ষয় অনেক বেশি হয়। অর্থাৎ, সকালে এক গ্লাস লেবুপানি আর সামান্য ব্যায়াম—এ দু’য়ে মিলে শরীরের বাড়তি চর্বি পোড়ানো যায় আরও দ্রুত।
মিষ্টি পানীয়ের বদলে লেবুপানি
যারা ওজন কমাতে গিয়ে সফট ড্রিংকস বা মিষ্টি শরবত বাদ দিতে চান, তাদের জন্য লেবুপানি হতে পারে সেরা বিকল্প। এতে যেমন তৃষ্ণা মেটে, তেমনি ক্যালরি বাড়ার ভয়ও থাকে না।
লেবুপানির আরও দারুণ উপকারিতা
আরও এক অসাধারণ দিক হলো—লেবুপানি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি শরীর ও মন দুটোই রাখে সতেজ ও সক্রিয়।
কিছু সতর্কতা মনে রাখা জরুরি
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—লেবুপানির অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষতি করতে পারে। তাই লেবুপানি পানের পর মুখ ভালোভাবে কুলি করা উচিত।
শেষ কথা
লেবুপানি কোনো যাদুর পানীয় নয়, তবে এটি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনের এক সহজ ও কার্যকর অংশ। সঠিক খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের সঙ্গে যদি সকালটা শুরু হয় এক গ্লাস কুসুম গরম লেবুপানিতে, তাহলে শরীরও থাকবে হালকা, মনও সতেজ।
সুতরাং, কাল সকাল থেকেই শুরু করা যাক—এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস, এক টুকরো পরিবর্তনের জন্য!
