![]() |
| ভূমিকম্পের সময় কি কি সাবধানতা নেওয়া দরকার |
গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় দেশে চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে আজ (শনিবার) সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় দুইবার পরপর কম্পন অনুভূত হয়। এর আগে গতকাল (শুক্রবার) সকাল ১০:৩৮ মিনিটে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে — সারা দেশে তা অনুভূত হয়। আতঙ্কে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসা কিংবা ভবন থেকে লাফ দেওয়ার মতো বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নেয়ায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এবার মূল কথায় আসি — ভূমিক্পের সময় কি কি সাবধানতা নেওয়া দরকার — একদম পরিষ্কার, প্রফেশনাল কিন্তু মজার টোনে:
ভূমিক্পে কী করবেন (সাবধানতা — দ্রুত ও কার্যকর)
১. প্রথমেই শান্ত থাকো — আতঙ্ক কাঁপুনি বাড়ায়; ঠান্ডা মাথায় কাজ করো।
২. বিছানায় থাকলে — বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকো এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নাও।
৩. রান্নাঘরে থাকলে — গ্যাসের চুলা সাথে সাথে বন্ধ করে দ্রুত বাইরে যাও। আগুন বড় হলে হতভম্ব হয়ে বসো না।
৪. বীম, কলাম বা পিলারের কাছে আশ্রয় নাও — এগুলো অপেক্ষাকৃত কাণ্ডার।
৫. স্কুলে থাকলে — স্কুলব্যাগটি মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ বা শক্ত টেবিলের নিচে ঢুকো; শিক্ষক বা দায়িত্বশীলের নির্দেশ মেনো।
৬. বাড়ির বাইরে থাকলে — গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলা জায়গায় অবস্থান নাও।
৭. গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট, সিনেমা হলে থাকলে — ডোরের সামনে দৌড় বা ভিড় করো না; দুই হাত দিয়ে মাথা ঢেকে বসে থাকো এবং ঢিলেঢালাভাবে অপেক্ষা করো।
৮. ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে — বেশি নড়াচড়া করোনা; মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে ধুলো এড়াও; সাহায্য পেতেই অপেক্ষা করো।
৯. প্রথম কম্পনের পর আবারও কম্পন আসতে পারে — সুযোগ বুঝে নিরাপদভাবে বেরিয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নাও।
১০. উপরের তলায় থাকলে — কম্পন বা ঝাঁকুনি থামা পর্যন্ত ঝাঁপ দিয়ে নামো না এবং লিফট ব্যবহার করো না।
১১. কম্পন থামলে — দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নেমে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করো।
১২. গাড়িতে থাকলে — পদচারী–সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামাও; ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির মধ্যে বসে থাকা নিরাপদ।
১৩. জরুরি কিট রাখো — ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখো; এগুলো ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে বহু কাজ দিবে।
ভূল ভাবনা — কী করবেন না
আতঙ্কে ভবন থেকে লাফ দেওয়া এড়াও — অনেক সময় লাফ দেয়ার সময় গুরুতর আঘাত ঘটে।
ভিড়ের মুখে দরজা খোলার জন্য ঠেলা না মারা — এতে বোঝা যায়, দরজা খুলে বের হওয়া জরুরি, কিন্তু ভিড় জীবন সংকট বাড়ায়।
ভাঙা দেয়ালের নিচে অপ্রয়োজনীয়ভাবে জোরে নড়াচড়া না করা — ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতর বেশি নড়াচড়া বিপজ্জনক।
লিফট ব্যবহার করা — ভূকম্পনের সময় লিফট আটকে যাওয়া বা দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি।
ছোটটা স্মরণীয় বাক্য (মজার হলেও কাজে লাগবে)
মাথা ঢাকো, অসতর্কতা ফাঁদে না ফেলো।
বাড়ির মধ্যে? টেবিল-এর নিচে; বাইরে? মুক্তি, লম্বা গাছ থেকে দূরে।
গাড়িতে? থাকা—থাকা ভাল; দরজা খুলে দৌড়ানো — নয়।
